ইউক্রেনের কিয়েভ শহরে আবারও হামলা চালিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) শহরটিতে বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন বাজার পর দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানায় জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, দুটি আবাসিক ভবনে হামলা চালানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মঙ্গলবারের রুশ অতর্কিত হামলায় অন্তত ৭০ লাখ পরিবার অন্ধকারে। কিয়েভ, ভিনিতসিয়া, দোনেতস্ক, দিনিপ্রপেত্রভস্ক, ঝিতমির, কিরোভরাদ, লভিভ, পোলতাভা, রিভনি, সুমি, তেরনোপিল, খারকিভ, চেরকাসি ও চেরনিহিভ অঞ্চলের বাসিন্দারা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন।
ভলোদিমির জেলেনস্কির অফিস বলছে, হামলায় অন্তত ১৫টি বিদ্যুৎ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়া এমন সময় ইউক্রেনের ওপর নতুন করে অতর্কিত হামলা চালালো যখন ইন্দোনেশিয়ায় জি-২০ সম্মেলনে বিশ্বের প্রভাবশালী নেতারা অবস্থান করছেন।
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, কিয়েভ ছাড়াও ইউক্রেনের দক্ষিণে খমেলনিটস্কি ও ক্রিভি রিহ এবং উত্তরে চেরনিহিভ এলাকায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে হামলার পর কিয়েভের একটি আবাসিক ভবন থেকে ধোয়া উড়তে দেখা গেছে বলে জানায় বিবিসি।
এদিন ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে জি-২০ সম্মেলনে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য রাখার কয়েক ঘণ্টা পরেই কিয়েভে হামলা চালায় রাশিয়া।
জেলেনস্কির অফিসের প্রধান অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক এক টুইটে বলেছেন, জেলেনস্কির ‘শক্তিশালী বক্তব্যের’ প্রতিক্রিয়ায় নতুন করে ‘ক্ষেপণাস্ত্র হামলা’ চালিয়েছে রাশিয়া। তার প্রশ্ন, কেউ কি সত্যিই ভাবেন, ক্রেমলিন শান্তি চায়? শান্তির পরিবর্তে তারা চায় ‘আনুগত্য’।
এর আগে গত ১০ অক্টোবর রুশ বাহিনী ইউক্রেনজুড়ে ৮৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় বলে দাবি করে ইউক্রেন।